আমাদের চারপাশের প্রকৃতি কত রহস্যময়। বস্তুত, সাধারণ মানুষ হিসেবে তার কতটুকুই বা আমরা জানি! তেমনি একটি প্রাকৃতিক বিষ্ময় হচ্ছে Galapagos দ্বীপ । নামটি হয়তো অনেকেই শুনে থাকবেন। বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন এর গ্রন্থ 'দি ভয়েজ অব দি বিউগল' এই দ্বীপের প্রেক্ষাপটেই তৈরি হয়েছিল। যাহোক, গালাপাগোস একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ যা ৯৭৩ কিমি পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। নিরক্ষ রেখায় অবস্থিত এই দ্বীপটির ভৌগলিক অবস্থান হচ্ছে 1°40'N-1°36'S, 89°16'-92°01'W. রাজনৈতিক ভাবে এটি ইকুয়েডর রাস্ট্রের সাথে সংযুক্ত। ১৩টি প্রধান দ্বীপ এবং অসংখ্য ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত গালাপাগোসের আয়তন ৭৮৮০ বর্গ কিমি (৩০৪২ বর্গ মাইল)। দ্বীপটি আবিস্কৃত হয় পানামার বিশপ Faryগালাপাগোস দ্বীপটি বহু কারণে বিখ্যাত। একে বলা হয় Tomas de Berlanga এর হাতে ১৫৩৫ সালে।
প্রকৃতির উন্মুক্ত ল্যাবরেটরী। শীতল হামবোল্ট সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হওয়ার কারণে নিরক্ষরেখায় অবস্থান সত্ত্বেও এখানে সীল মাছ সহ এমন
প্রানীদের দেখা যায় যা এক কথায় অভুতপূর্ব। এখানেই শেষ নয়, গালাপাগোস সুবিখ্যাত তার ল্যান্ড এবং মেরিন ইগুয়ানার জন্য। ইগুয়ানা এক প্রকার সরিসৃপ যা অনেকটা আমাদের দেশের গুইসাপের সাথে তুলনা চলে। দ্বীপের আরও বড় একটি আকর্ষণ হচ্ছে 'গালাপাগোস পেঙ্গুইন'। আমরা জানি পেঙ্গুইন হচ্ছে শীতল আবহাওয়ার প্রাণী, খুব ঠান্ডা না হলে এদের দেখা যায় না। যেহেতু গালাপাগোসের চারিপাশের সমুদ্রে শীতল স্রোত প্রবাহিত তাই এখানে পেঙ্গুইনদের দেখা মিলে। এমনি আর পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি দেখা যায় না।_-Espanola_-Punta_Suarez3.jpg)

গালাপাগোস সম্পর্কে লিখতে গেলে আসলে একটি বই হয়ে যাবে। তবুও খু্বই সংক্ষিপ্ত ভাবে এখানে এর পরিচিতি তুলে ধরা হলো। পাঠকের যদি আরও জিজ্ঞাসা থাকে তবে ইমেইলে অথবা কমেন্টস লিখে জানাতে পারেন। আর যদি কখনো সুযোগ হয় অবশ্যই ঘুরে আসতে ভুলবেন না।
No comments:
Post a Comment