Saturday, March 19, 2011

ডেডলাইন ২০১২: আসলে কি হবে?

প্রথমেই বলে নেই, আমি বৈজ্ঞানিক নই। ফলে accurate secientific বিশ্লেষণ হয়তো হবে না। তবে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে যতটুকু বুঝি, শুধু সে টুকুই শেয়ার করতে চাই। প্রশ্ন হচ্ছে ২০১২ সালের ব্যাপারটা আসলো কোথা থেকে? বলা হয়ে থাকে মায়া সভ্যতার শেষ দিন হচ্ছে ২০১২ সালের ২১শে ডিসেম্বর। অর্থাৎ এরপর মায়াদের ক্যালেন্ডারে আর কোন তারিখ নেই। ব্যাপারটি বেশ অদ্ভুত মনে হতে পারে, যে ক্যালেন্ডার শেষ হয়ে কিভাবে? মায়াদের ক্যালেন্ডার গণণা ঠিক আমাদের মতো নয়, অথাৎ সেখানে শুধু দিন তারিখই থাকে না, সাথে সাথে রাশি এবং বিভিন্ন বিশ্লেষণ জড়িত থাকে। ফলে এটি বেশ জটিল। যা বলছিলাম, ২০১২ সালের ২১ শে ডিসেম্বর মায়াদের সময় গনণা শেষ, এই হিসেবে অনেকে বলেন, এটি বর্তমান সভ্যতা শেষ দিন। সাথে আরও যোগ করা হয়, নস্ট্রাডেমাসের ভবিষ্যত বাণী, সৌর ঝড়, গ্রহদের একক অবস্থান এবং তৎপরবর্তী পৃথিবীর চৌম্বকীয় পরিবর্তন ইত্যাদি।


কিন্তু এসবই কতটুকু সত্য বা কার্যকরী? মায়া'রা হয়তো বেশ উন্নত সভ্যতার অধিকারী ছিল, কিন্তু দিন তারিখ গনণা করে পৃথিবী ধ্বংসের ভবিষ্যত বানী করার মতো উন্নত ছিল কি? আপনার কি মনে হয়? আর নস্ট্রাডেমসের ভবিষ্যত বাণী হচ্ছে আরেক প্রহেলিকা। বাকি রইল গ্রহদের যোগবিয়োগ। এটা সত্য যে , আগামী বছর গ্রহগুলো সব এক লাইনে আসবে, এবং এই সেটআপ বেশ বিরল। হয়তো সূর্যেও কিছু অস্থিরতা থাকবে। কিন্তু তা, পৃথিবীকে ওলট-পালট করার জন্য যথেষ্ট নয়। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA) প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে, এবং এই ব্যাপারে বিভ্রান্ত না হবার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছে।


সুতরাং, মনে কোন দ্বিধা রাখার কোন অবকাশ নেই। জাপানের ভূমিকম্প বা সুনামী বা এই ধরনের প্রাকিৃতিক দুযোগ সবসময়ই হবে এবং অতীতেও হয়েছিল। এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হচ্ছে এবং আধুনিক প্রযুক্তির ফলে প্রচারও বেশি পাচ্ছে। ফলে মানুষের আতঙ্কও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

No comments: