আমাদের পরিচিত ধুমকেতুর মধ্যে হ্যালির ধুমকেতু হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সাধারণ লোকে আর কোন ধুমকেতুর কথা স্বরণ করতে না পাড়লেও এই ধুমকেতুটির নাম খুব সম্ভবত বলতে পারবে। এর একটি কারণ হচেছ হ্যালির ধুমকেতু প্রতি ৭৫/৭৬ বছর পরপর পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যায়। এটিই সম্ভবত একমাত্র ধুমকেতু যেটি এত স্বল্প সময়ের ব্যবধানে খালি চোখে পৃথিবী থেকে দেখা যায়। সর্বশেষ এটি দেখা গেছে ১৯৮৬ সালে। যাদের বয়স মোটামুটি ৩০+, তারা হয়তো স্বরণ করতে পরেন তখন ঘটনাটি বেশ আলোরণ তুলেছিল। এটি আবার দেখা যাবে ২০৬১ সালে। তাই হয়তো অনেকেই এটিকে আবার দেখার সুযোগ পাবেন।
হ্যালির ধুমকেতুর ইতিহাস অনেক পুরোনো। মানব সভ্যতার অনেক বাঁক ঘাত-প্রতিঘাতের সাথে এটি জড়িয়ে আছে। জোর্তিবিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি ১৭০৫ সালে প্রথম ধুমকেতুটির গতিবিধি নির্নয় করেন। তার নামানুসারেই ধুমকেতুটির নামকরণ করা হয়। তাঁর বেধে দেয়া গতিবিধি এবং মানব ইতিহাস বিশ্লেষন করে জানা যায়, খ্রীষ্টপূর্ব ২৩০ অব্দ থেকে এর ধারাবাহিক অবির্ভাবের রেকর্ড আছে। প্রাচীন চৈনিক গ্রন্থ Chih Chi (খ্রীষ্টপূর্ব ৯০ অব্দ) তে একে "ঝাড়ু তারকা" (Broom Star) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যা কিনা পূর্বদিকে অর্বিভূত হয়ে আস্তে আস্তে উত্তর দিকে গমন করে। প্রাচীন চৈনিক ছাড়াও ব্যবিলন, মিশর, ইনকা প্রভৃতি সভ্যতায়ও এর বিস্তৃত বর্ণনা পাওয়া যায়। কখনো একে অশুভ (বিজিত পক্ষের জন্য) আর কখনো শুভ (বিজয়ী পক্ষের জন্য) হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। যেমন ১০৬৬ সালে হেস্টিংসের যুদ্ধে ইংল্যান্ডের রাজা হ্যারল্ড দ্বিতীয় পরাজিত হন উইলিয়াম দ্য কংকারের কাছে। ফলে উইলিয়াম দ্য কংকারের কাছে ধুমকেতুটি প্রতিয়মান হয় বিজয় চিহ্ণ হিসেবে।
হ্যালির ধুমকেতু কালের সাক্ষী হিসেবে ৭৫ (মোটামুটি) বছর পর পর পৃথিবীর আকাশ অর্বিভূত হয়। বিগত শতাব্দীর গোড়ায় ১৯১০ সালে এটি যখন দেখা যায়, তখন ছিল উপনিবেশিক যুগ আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাককাল। গোটা পৃথিবী জুড়েই ছিল ব্রিটেনের একছ্ত্র রাজত্ব আর অন্যদিকে কম্যুনিস্ট রাশিয়ার উত্থানের পদধ্বনি। ১৯৮৬ সালে এটি আসে সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙ্গন আর আমেরিকার একক সুপার পাওয়ার হওয়ার বার্তা নিয়ে। ২০৬১ তে এটি কি বার্তা নিয়ে আসবে তা একমাত্র মহাকালই বলতে পারে। কিন্তু তখনও যে কোন একটি কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে তা নিদ্বিধায় বলা যায়।
(Courtesy: Jerry Lodriguss and John Martinez, taken on 22nd March, 1986 at Mississippi, USA)
হ্যালির ধুমকেতুর ইতিহাস অনেক পুরোনো। মানব সভ্যতার অনেক বাঁক ঘাত-প্রতিঘাতের সাথে এটি জড়িয়ে আছে। জোর্তিবিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি ১৭০৫ সালে প্রথম ধুমকেতুটির গতিবিধি নির্নয় করেন। তার নামানুসারেই ধুমকেতুটির নামকরণ করা হয়। তাঁর বেধে দেয়া গতিবিধি এবং মানব ইতিহাস বিশ্লেষন করে জানা যায়, খ্রীষ্টপূর্ব ২৩০ অব্দ থেকে এর ধারাবাহিক অবির্ভাবের রেকর্ড আছে। প্রাচীন চৈনিক গ্রন্থ Chih Chi (খ্রীষ্টপূর্ব ৯০ অব্দ) তে একে "ঝাড়ু তারকা" (Broom Star) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যা কিনা পূর্বদিকে অর্বিভূত হয়ে আস্তে আস্তে উত্তর দিকে গমন করে। প্রাচীন চৈনিক ছাড়াও ব্যবিলন, মিশর, ইনকা প্রভৃতি সভ্যতায়ও এর বিস্তৃত বর্ণনা পাওয়া যায়। কখনো একে অশুভ (বিজিত পক্ষের জন্য) আর কখনো শুভ (বিজয়ী পক্ষের জন্য) হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। যেমন ১০৬৬ সালে হেস্টিংসের যুদ্ধে ইংল্যান্ডের রাজা হ্যারল্ড দ্বিতীয় পরাজিত হন উইলিয়াম দ্য কংকারের কাছে। ফলে উইলিয়াম দ্য কংকারের কাছে ধুমকেতুটি প্রতিয়মান হয় বিজয় চিহ্ণ হিসেবে।
(Taken from Giotto Space Probe on 1986. The nucleus as well as gas and dust erupting from its surface)
সর্বশেষ ১৯৮৬ অবির্ভাবের সময় পৃথিবি থেকে বেশ কটি মহাশূন্যযান পাঠানো হয় হ্যালির ধুমকেতু ছবি এবং গঠনগত বিশ্লেষনের জন্য। এর মধ্যে তদানিন্তন সোভিয়েত রাশিয়ার ভেগা ১, ২, ইউরোপিয়ান মহাশূন্য সংস্থার গিটো (Giotto Space Probe), জাপানি সুসি (Suisei), সাকিগাকি (Sakigake) অন্যতম। এই স্পেস প্রোব গুলো হ্যালি নিউক্লিয়াসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছবি এবং রাসায়নিক বিশ্লেষণ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে, যা আমাদের ধুমকেতু তথা মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানার সুযোগকে অবারিত করেছে।হ্যালির ধুমকেতু কালের সাক্ষী হিসেবে ৭৫ (মোটামুটি) বছর পর পর পৃথিবীর আকাশ অর্বিভূত হয়। বিগত শতাব্দীর গোড়ায় ১৯১০ সালে এটি যখন দেখা যায়, তখন ছিল উপনিবেশিক যুগ আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাককাল। গোটা পৃথিবী জুড়েই ছিল ব্রিটেনের একছ্ত্র রাজত্ব আর অন্যদিকে কম্যুনিস্ট রাশিয়ার উত্থানের পদধ্বনি। ১৯৮৬ সালে এটি আসে সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙ্গন আর আমেরিকার একক সুপার পাওয়ার হওয়ার বার্তা নিয়ে। ২০৬১ তে এটি কি বার্তা নিয়ে আসবে তা একমাত্র মহাকালই বলতে পারে। কিন্তু তখনও যে কোন একটি কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে তা নিদ্বিধায় বলা যায়।